শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
কামরুল ইসলাম মাহি ::
ঈদের বাকি আরো ১০দিনের মতো। এরি মধ্যে শুরু হয়েছে ঈদের বেচা-কেনা। ঈদের ভিড় এড়াতে অনেকেই আগেভাগে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীরাও নতুন পোশাক উঠিয়েছেন দোকানে।
মঙ্গলবার পৌর শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মার্কেট ও বিপনী বিতানে ক্রেতাদের উপছেপড়া ভিড়। টাসাটাসি ভিড় চোখে পড়লেই যে কারও বুঝতে বাকি থাকবে না দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের আনন্দে মেতে উঠবেন সবাই। কেনাকাটাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন নারী-পুরুষ-শিশু সহ সবাই। উপজেলা শহরের মাকের্টে ভিড় আরও বহু গুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু আগে-ভাগেই ঈদের কেনাবেচা শুরু হয়েছে সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যাুষিত জগন্নাথপুরে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা দুই বছর ফসল ডুবির কারণে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব পড়েছিল গত ঈদবাজারগুলোতে। এবার হাওরে বাস্পার ফলন হওয়াতে প্রচুর পোশাক দোকানে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। মারজুম আহমেদ রাজ নামে এক ক্রেতা জানান, এবার ঈদের বাজারে কাপড়ের দাম তুলনামুলক কম আছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি কাপড়ের দোকানেই ক্রেতাদের উপস্থিতি রয়েছে। বেচাকেনা চলছে।
নিউ ঝলক ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী কদ্দুছ মিয়া বলেন, হাওরের ফসল ভাল হওয়ায় পাশাপাশি প্রবাসীদের আর্থিক সার্পোটে ঈদবাজারে ভাল বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি। অন্য বছরের তুলনায় এবার মালামালও অনেক বেশি আনা হয়েছে। অপর আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এবার মনে হচ্ছে একটু আগে-ভাগেই ঈদ বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরোদমে বেচাকেনার ব্যস্ততা বেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিসমিল্লাহ শাড়ী স্টোর এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, পর পর দুই বছর ফসল হারিয়ে হাওরবাসী নানা কষ্টের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করলেও এবার বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ায় অভাবটা মুছে গেছে অনেকটা। গত কয়েকটি ঈদ আনন্দহীন ভাবে কাটলেও এবার হাসিখুশিতে ঈদ উদযাপন করবেন হাওরের মানুষজন।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, এই ঈদ অন্যান্য ঈদের চেয়ে বেশি আনন্দমুখর হয়ে উঠবে। কারণ এবছর প্রতিটি মানুষের ঘরেই ফসল উঠেছে। পাশাপাশি প্রবাসীদের সহযোগিতা তো রয়েছেই । এ দুইয়ে মিলে খুশির ঈদ খুশিতেই ভরে উঠবে বলে সকলেই মনে করছেন।
Leave a Reply